মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং কি ? কিভাবে বুঝবেন আপনার নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে মোবাইল নাম্বার আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেক জায়গাতেই আমাদের মোবাইল নাম্বার লিঙ্ক করা থাকে। তাই মোবাইল নাম্বার ক্লোন হয়ে গেলে সবকিছু বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে।
Table of Contents
প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং মানে কি ?
মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং দু রকমের হয় ।
প্রথম প্রকারে ক্লোনিং এর সাহায্যে আপনার নাম্বারটি পোর্ট করে নেওয়া হয়। প্রত্যেক সিমে একটি করে পোর্ট আইডি থাকে। এই পোর্ট আইডিকে জেনারেট করে আপনার সিমটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
আপনি যখন দেখবেন যে আপনার সিমটি বন্ধ হয়ে গেছে তখন আপনি যদি অন্য কোন নাম্বার থেকে আপনার নাম্বারে ফোন করেন আর যদি দেখেন রিং হয় তাহলে বুঝবেন আপনার নাম্বার ক্লোনিং এর শিকার হয়েছে।
দ্বিতীয় ধরনের ক্লোনিং বলতে বোঝায় সফটওয়ারের সাহায্যে কোন অসৎ ব্যক্তি আপনার নাম্বারটি হুবহু কপি করে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।
এবার জেনে নেওয়া যাক আপনার মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং হলে বুঝবেন কিভাবে?
.আপনার নাম্বারটি ক্লোন হলে আপনার ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে কল আসতে থাকবে।
.আপনার নাম্বারে ফোন এলে ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই কলটি কেটে যাবে।
.আপনি কোনো নাম্বারে ফোন করলে অনেক রকম সমস্যা তৈরি হবে।
.ইনকামিং কলে ব্যস্ত সিগনাল আসবে।
.আপনার ফোনের বিল সাধারণের থেকে বেশি আসবে।
.ভয়েস কল করার সময় নানারকম সমস্যা দেখা দেবে ।
.কারণ ছাড়াই আপনার ফোন মাঝে মাঝে গরম হয়ে যাবে।
.ফোনের চার্জ তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে ইত্যাদি।
মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং এর ফলে কি হয় ?
আপনার ফোনের নাম্বারটি ক্লোনিং হলে তার মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজ, প্রতারণা, হুমকি, ব্ল্যাকমেইল এইসব অসৎ কাজকর্ম ঘটতে পারে।
যখন কোন হ্যাকার আপনার ফোনটিকে ক্লোন করে তখন ওই হ্যাকার আপনার ফোনের ভয়েস কল, পার্সোনাল তথ্য, ফটো, গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারে।
আপনার ফোনটি ক্লোন করা হলে আপনার নাম্বারটি পরিবর্তন না করে অপারেটর পরিবর্তন করে কাউকে কল করা যায় , যার কাছে আপনার নাম্বার থেকে ফোন যাবে সে কোনভাবেই বুঝতে পারবে না ফোনটা আপনি করেননি অন্য কেউ ক্লোন করে করেছে।
তাই আপনার নাম্বারটি ক্লোন হলে বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটতে পারে ।
মোবাইল নাম্বার ক্লোনিং হলে কি করবেন ?
আপনার মোবাইল নাম্বার ক্লোন হলে যে গুলি করবেন সেটি হলো আপনার ফোনের ব্যালেন্স মাঝে মধ্যে চেক করতে হবে ।
ব্যালেন্স যদি সময়ের আগে শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারে খোঁজ নিতে হবে। আপনি যদি কাউকে ফোন বা এসএমএস না করে থাকেন আর কাস্টমার কেয়ার থেকে যদি বলা হয় আপনি ফোন বা এসএমএস করেছেন তাহলে বুঝবেন আপনার নাম্বারটি ক্লোনের শিকার হয়েছে।
আপনার নাম্বারটি ক্লোন হলে অচেনা নাম্বার থেকে মিস কল আসে। অচেনা নাম্বার থেকে মিস কল এলে কল ব্যাক করবেন না।
আপনার নাম্বারটি ক্লোন হলে আপনি আপনার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করুন বা দরকারে সাধারণ ডায়েরি করে রাখতে পারেন।